যে-কোনও একটা সোয়েটার
মানুষ দেখি না। শুধু তাদের সোয়েটার দেখি। কোনও সোয়েটার
ভাল লাগলে মনে মনে তার ভিতরে ঢুকে যাই। দেখি, ফিট করছে কিনা! কাল তেমনই একটা
সোয়েটারের ভিতরে ঢুকে বেশ অবাক হলাম! সোয়েটারটা হাতে বোনা। তার শরীরে কমলালেবুর
গন্ধ!
ছোটবেলায় দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে কেউ একজন একটা সোয়েটার
এনেছিল আমার জন্য। খুব বড়! পড়লে বেঢপ লাগত। তবু দার্জিলিংয়ের সোয়েটার তো! আমি তার
মধ্যে চা পাতা আর কমলালেবুর গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে স্কুলে যেতাম। যে মেয়েটাকে ভোলো
লাগত, কেমন যেন মনে হত আমার এই সোয়েটারের জন্যই একদিন সেও ভালবেসে ফেলবে আমায়!
বাসেনি।
পরে মাকে কথাটা বলায় মা খুব হেসেছিল। আর তারপর নিজেই
বুনতে শুরু করেছিল একটা সোয়েটার।
তিনটে শীতকাল পেরিয়ে যখন শেষ হল সোয়েটারটা, তখন
উল-কাঁটার সঙ্গে আড়ি হয়ে গেছে পৃথিবীর!
আরও তিনটে শীতকাল পেরিয়ে একদিন কতজনের সঙ্গেই আড়ি হয়ে
গেল আমার...
সোয়েটারটা এখনও আছে। আঙুলের কর গুনে দেখলাম, এবার
মাধ্যমিক দেবে সে!
বেশ ভাল লাগল লেখাটি
ReplyDeleteখুব সুন্দর।
ReplyDelete