বুবুন চট্টোপাধ্যায়





মেম্বারশিপ

আমার বাবা ব্যাঁটরা সম্মিলনী ক্লাবের মেম্বার ছিল।
আমি ঐকতান।
দাদু বয়েস স্কাউট।
কিন্তু আমার অনেক বন্ধু আছে যারা এই শহরের বড়, বড় ক্লাবের মেম্বার।
তারা  আমাকে খুব ভালোবাসে।
আমিও তাদের খুব ভক্তি, শ্রদ্ধা করি।
তাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে যাই।
ছেলে, বউ নিয়ে দু-পাত্তর মেরে আসি।
বাড়িতে এলে লুঙ্গি ছেড়ে পাজামা পরি।
বউ নাইটি ছেড়ে সালোয়র।

আমার দাদা বিজ্ঞানী। অঢেল টাকা।
একবার সেই ক্লাবের মেম্বার হতে গেল।
ক্লাবওয়ালারা বলল, চটি পরে আসা যাবে না কিন্তু।
শুনে দাদা অ্যাইসান চটে গেল।
বলল, আমি কী পরে আসব আমার চয়েস।
ল্যাংটো হয়েও আসতে পারি।
ক্লাবওয়ালারা বলল
ফোট শালা ফোট।
আমাদের অনেক লোক আছে।
যাদের টাকা আছে কিন্তু তেড়িয়া নয়।
নির্বিরোধী। শিরদাঁড়া টা একটু ব্যাঁকা।
কিন্তু স্যুটের নীচে ওসব মামুলি।
আমিও ছেলেবেলায় পাঁচিল থেকে পড়ে গিয়েছিলাম।
সেই থেকে শিরদাঁড়াটা একটু  ছোট।
তা হোক। শার্টের নীচে ওসব মামুলি।
সব ই ঠিক ছিল।
কদিন হল হেব্বি মাথায় ব্যথা।
আমার ক্লাবওয়ালা বন্ধুরা কত বড়, বড় ডাক্তার দেখাল কিস্যু হল না।
শেষ পর্যন্ত পাড়ার হদ্দ বুড়ো বলাই ডাক্তার নাড়ি ধরেই বলল, ঠিক বুঝেছি।
তুই মরেছিস।
বড়োলোকদের সঙ্গে গা ঘষাঘষি করিস খুব!
ওই হারামী গুলো বাজারে একটা ব্যাকটেরিয়া ছেড়েছে। মধ্যবিত্তর রক্ত চোষে খুব।

আমি বড় জীবন চাইনি। লম্বা জীবন চেয়েছিলাম।
মরতে, মরতে ও দেখি ওরা দূর থেকে টা, টা করছে খুব।

No comments:

Post a Comment

একঝলক

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

এক আশ্রমে গুরু এবং তার শিষ্যরা যখন সান্ধ্যকালীন ধ্যান শুরু করে তখন সেখানে আশ্রিত বিড়াল খুব শব্দ করায় তাদের ধ্যানের ব্যাঘাত ঘটে। গুরু ত...

পছন্দের ক্রম