ঈশানী বসাক




ভবিষ্যৎ


কিছুদূর গিয়ে দেখি লেখা কোনো এক আচার্যের নাম। অক্ষর স্পষ্ট করে বলে ভবিষ্যত এখানে কাছেই। জানতে হলে আসতেই হবে ঠিকানাতে।
চা খেতে খেতে উত্তর দিতে থাকি আমি কোথায় থাকি। যোগ করি যে আমি জানিনা আমি কে? তাকে বললাম আমার একটা নাম, ভোটার কার্ড, ঠিকানা , পরিবার আছে। তবে আমার নিজস্ব কোনো পরিচয় নেই। চিনি না এই হাত পা মুখ। একবার জিজ্ঞাসু চোখে তাকাতেই বললেন, চেনার আছে কী এত? বরং এ বেলা বলুন যা যা আপনি হতে চান, রাখতে চান।
কেমন একলষেঁড়ে ব্যক্তি। অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি। আপনি তো ভবিষ্যত দেখেন, শুনতে চান মানে? খানিক বালিঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলেন আমরা শুধুই শুনতে চাই নিজেদের পছন্দ। তাই ভবিষ্যত আমাদের। কে বা বলতে পেরেছে কখনো ভেঙে পড়ার গল্প।
বারবার তাকে বলি কিন্তু আমার যে বড়ো ব্যথা হয়। তিনি হাসতে হাসতে আমার হাত নিয়ে বলেন হীরে পড়ুন। সব ভালো হবে। নীলা পড়ুন , শরীর ভালো থাকবে। পান্না নেবেন ? শান্তি পাবেন।আমি বিরক্ত হই। চেয়ার ছেড়ে উঠতে যাই। তিনি ঠান্ডা হাত বাড়িয়ে বলেন হাতের ভার দিয়েই তো আমরা সংসার করি। না হয় আরেকটু পাথরের ওজনে তার গাম্ভীর্য বাড়ুক। নিন মিষ্টি মুখ করুন। নিজেকে চিনতে পারলে আর কেন আপনার হাতটুকুর বোঝা বাড়াতাম ?

No comments:

Post a Comment

একঝলক

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

এক আশ্রমে গুরু এবং তার শিষ্যরা যখন সান্ধ্যকালীন ধ্যান শুরু করে তখন সেখানে আশ্রিত বিড়াল খুব শব্দ করায় তাদের ধ্যানের ব্যাঘাত ঘটে। গুরু ত...

পছন্দের ক্রম