রাজর্ষি দে







স্মরণ


মারা গেলে মানুষ স্মরণীয় হয়ে ওঠে
মানে যতটা স্মরণ দেওয়াল দিতে পারে
যতদিন দেওয়াল রঙ বদলায় না
এর বেশি আর কীইবা চাইতে পারে মানুষ
আড়ালে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে
নিজের নিজের মত করে বয়ে চলছে সাঁকো ধরে

রোদ পড়ে গেলে ঘরে ফিরে যাব
আর কোনো কথা নয়
এখন ছায়ার সঙ্গে পথ হাঁটি
পায়ের তলায় ঘাস ছিঁড়ে গেলে শব্দ পাই
ঘাসেদের স্মরণ নেই
আড়াআড়ি শুয়ে থাকে তারা স্তূপাকারে

কাঁচের মর্মর পায়ের তলার মরে যায়
রক্ত রাঙা আয়নায় আঁকাবুঁকি লিখে লিখে
কুয়াশায় ধোঁয়া রেখে যাই
সেই প্রবল সূর্যহীনতায়
প্রতিবিম্ব প্রস্তরে পরিণত হয়
প্রস্তরের মৃত্যু নেই
ঘষা লাগলেই আগুন জ্বলবে
যেমন চামড়ায় জ্বলে

নেশা নেশা হাসি, ঘোর লাগা চোখ
বলে বেঁচে আছি
আর তো শুধু ভুলে থাকা
ভুল ভুল ভালবাসার
আমসত্ব খেয়ে চলেছি
আমে পোঁকা লেগে যায়, গেঁজে যায়
শুধু হাতে চেপে ধরো
ওতেই জন্মবীজ লেগে আছে
আর কিছুই বাঁচবে না

মাটি পুড়ে গেছে, আকাশ দগ্ধ
জলে বীর্য জ্বলে
সেই জল হাতে তর্পণ করো হে বীজ
গাছ হও, গাছ হও
জঙ্গলে শীতের আগুন লাগলে জেনে নিও
আমি মরিনি

এই মুসাফির আগুনের গায়ে
সেঁকে নিলাম জন্মের পাপ
ধোঁয়া দিয়ে চিনে নিও
কতটা বিবমিষা মিশে ছিল
প্রতিদিন স্বমেহনে
রাতের শেয়ালেরা চাঁদ কামড়ালে
সেই ছেঁড়াখোঁড়া দেহে
স্মরণে করো আমি অপরাধী

No comments:

Post a Comment

একঝলক

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

এক আশ্রমে গুরু এবং তার শিষ্যরা যখন সান্ধ্যকালীন ধ্যান শুরু করে তখন সেখানে আশ্রিত বিড়াল খুব শব্দ করায় তাদের ধ্যানের ব্যাঘাত ঘটে। গুরু ত...

পছন্দের ক্রম