ঢুলি কমল : ফাঁসিমঞ্চে
ঢুলি কমলের চোখগুলো সভ্যতার বিস্ফারিত
ভাষা
মেসোপটেমীয়, কারাল কিংবা মায়া
সভ্যতার উদ্ভাবিত আলোয়
তার ঢোলের ব্যাঞ্জনা মহাকালিক
সঙ্গীত রচনা করে
যে কোনো হ্রস্ব কিংবা ভীরু মানুষের
বুকে
একবার আন্দোলিত হলে ভোরের মর্মর
নাকি
অন্ধকারের মহাপ্রলয়ের তূর্য রচিত
হয়—
এ-কথা জানে না কমল
কোলাহল থেমে গেলে— যখন নিতান্ত
ঢোলের বাড়িতে
সভ্যতার একাল থেকে সেকাল প্রকম্পিত
করে দেয় সে—
রাজদণ্ড ছুটে এসে দুহাতের কব্জি
কেটে নদীতে ভাসিয়ে
দেয় গীত সমাহার। ঢুলির উদ্বেলিত
রূপ একবার কেটে ফেলা হাত
আর একবার রাজলেখ্য ভর করে হেঁটে
যায় ফাঁসিমঞ্চের প্রপঞ্চিত পটে
যমটুপি বিদ্ধ করে কতকালের পুরনো
ফাঁসির রজ্জুতে দেখে
পৃথিবীর সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত
কত কত রাজা ও রাজপ্রহরীর
কালো রক্তপুঁজ— কখনো ঘৃণায় কখনো
প্রবল জিজ্ঞাসায় কালশিটে হয়ে আছে
সহাস্যে ফাঁসিমঞ্চে হেঁটে আসা
কমল
সভ্যতার শানানো ছুরিটা নিজেই বসিয়ে
দেয় নিজেকে হঠাৎ!
তার ছিটকে পড়া রক্তে নতুন কোনো
সভ্যতার ভূভাগ রচিত হয়
রাজা নেই রক্ত নেই
প্রলম্বিত সবুজ উদ্যান জুড়ে মানুষ
রয়েছে শুধু—
ভাষাগুলো চুরি হয়ে গেছে শতদল পাপড়ির
ফোটায়
No comments:
Post a Comment